উত্তর কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে উত্তর কোরিয়াকে রক্ষায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে আবারো যৌথ নৌমহড়া চালিয়েছে ওয়াশিংটন-সিউল।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রথমবারের মত দেশটির একটি পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন কিম। এ সময় বিশেষজ্ঞদের শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের যেকোনো সময়, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন কিম জং উন। আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস নিমিটজ’ কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শেষে বুসান বন্দরে পৌছেঁছে। পরমাণু শক্তিচালিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ মার্কিন রণতরীটিতে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এ নৌমহড়ায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুদেশের কৌশলগত অস্ত্রের সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে বলে জানায় ওয়াশিংটন ও সিউল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এ যৌথ নৌমহড়াকে উস্কানিমূলক বলছে পিয়ংইয়ং। এছাড়াও এ ধরনের মহড়ার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও জানায় উত্তর কোরিয়া।