জয়পুরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রীর ফোনালাপ রেকর্ড করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার (২৬ মার্চ) রাতে নিহত মিতু আক্তারের (৩২) বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
এর আগে সকালে সদর উপজেলার মধ্যদাদড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্যদাদড়া গ্রামের চাতাল শ্রমিক আব্দুস সাত্তার স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দু-বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে প্রথম স্ত্রী মিতু আক্তারকে লিখে দেয়া তিন শতাংশ জমি ফেরত নিতে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও মারধরের ঘটনা ঘটত।
সবশেষ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ফোনালাপ রেকর্ড করায় মিতুকে তিন দিন ধরে মারধর করছিলেন আব্দুস সাত্তার। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে দুজনের মধ্যে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে স্বামীর ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া মিতুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিতুর মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘মাত্র ১৪-১৫ বছর বয়সে আমার মেয়েকে বিয়ে দিই পার্শ্ববর্তী মধ্যদাদড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই দু-বছর আগে কোমর গ্রাম এলাকায় এক মেয়েকে বিয়ে করে সাত্তার। এর পর থেকেই আমার মেয়েকে কথায় কথায় মারধর করে এবং লিখে দেয়া তিন শতাংশ জমি ফেরত চেয়ে নির্যাতন করে।’
‘রোববার আবারও মারধর করে গলায় রশি পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় জামাই। আমি এ ঘটনার দ্রুত বিচার চাই,’ যোগ করেন তিনি।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, মিতুর মৃত্যুর পরপরই তার স্বামী আব্দুস সাত্তার বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছেন। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে সাত্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন মিতুর বাবা আব্দুল মালেক।