প্রতিবেশী মিত্র দেশ বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। শনিবার (২৫ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়ার এমন ঘোষণার বিপরীতে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৯৯০ সালের পর এই প্রথম রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেশের বাইরে কোনো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা এল। পুতিন এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দিলেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ জয়ের জন্য প্রয়োজনে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে তার দেশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের এ উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই এমনটা করে আসছে। তারা দীর্ঘ সময় ধরেই তাদের মিত্র দেশগুলোতে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে।’
পুতিন আরও বলেছেন, ‘তাই আমরাও এমনটা করতে সম্মত হয়েছি। তবে আমরা আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ভাঙব না। আমি আবারও জোর দিয়ে বলছি, আমরা পরমাণু অস্ত্র বিস্তারবিরোধী চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে এমন কোনো উপায়ে এ কাজটি করব না।’
তবে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত থাকা বেলারুশে কোন ধরণের কৌশলগত অস্ত্র এবং কবে, কোথায় মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
রাশিয়ার এমন ঘোষণায় সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশ বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আমরা এমন কোনো লক্ষণ দেখিনি যা দেখে মনে হতে পারে রাশিয়া কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে।
ওই শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, আমরা বেশ কয়েকবার মস্কো এবং মিনস্কের মধ্যে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের বিষয়ে আলাপ হয়েছে বলে জেনেছি। তিনি বলেছেন, ‘এ অবস্থায় আমাদের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রগুলোর অবস্থান পুনরায় সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। কারণ, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন কোনো লক্ষণ দেখতে পাইনি।’