মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে ফুরফুরে মেজাজে আছে ব্রাজিল শিবির। টানা ম্যাচ খেলার ধকল থাকলেও র্যামন মানেজেসের স্কোয়াডে আপাতত নেই কোনো ইনজুরি শঙ্কা। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলে আবারও নতুন শুরুর অপেক্ষায় সেলেসাওরা।
মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। সেটাও তাঞ্জিয়েরে। তাই তো বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলে পাঁচ দিনের ক্যাম্পে এখন আফ্রিকার শহরে ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু এখনও কোচের পদটা শূন্য সেলসাওদের। ডাগআউটে টেকটিশিয়ান থাকলেও তার পদবিটা ভারপ্রাপ্ত।
র্যামন মানেজেস অবশ্য নতুন নন সাম্বার দেশে। ফুটবলটা তিনি মোটামুটি খেললেও কোচ হিসেবে দারুণ সফল। বয়সভিত্তিক দল নিয়ে তার পারফরম্যান্স এতটাই নজরকাড়া যে পূর্ণ মেয়াদে তার হাতেই হলুদ শিবিরকে তুলে দিতে চাওয়ার লোকের অভাব হবে না। সে তালিকায় আছেন ফুটবলাররাও। তিতে, দুঙ্গার পর র্যামনের কৌশলে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন সিনিয়ররা। নতুন পরিবেশে, নতুন উদ্যমে পুরোনো কাজটাই যে করতে হবে তাদের।
গোলরক্ষক এডারসন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন তিতের সঙ্গে কাজ করেছি। দুঙ্গাকেও পেয়েছিলাম কিছুদিন। কিন্তু এই প্রথম ভারপ্রাপ্ত কোচের কৌশলে খেলতে নামব। বিষয়টা আমাদের জন্য নতুন হলেও, র্যামনের যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। উনি দুর্দান্ত কোচ। আশা করি, নতুন যারা দলে এসেছে, সবার সঙ্গে ভালো একটা বোঝাপড়া হবে।’
র্যামনের স্কোয়াডটা অনেক বেশি তার নিজস্ব। এ দলে নেই বিশ্বকাপ দলের নেইমার, রিচার্লিসনরা। আছে দশজন নতুন মুখ, যাদের কয়েকজন আবার বয়সভিত্তিক দলে ছিলেন র্যামনের শিষ্য। আর বাকিরা ব্রাজিলিয়ান লিগের। তবে বরাবরের মতো দক্ষিণ আমেরিকান দেশটির লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবারও।
তরুণ মিডফিল্ডার রাফায়েল ভেইগা বলেন, ‘ব্রাজিলিয়ান লিগের কোয়ালিটি নিয়ে আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন। আমরাও জানি ইউরোপের সঙ্গে এর পার্থক্য আছে। কিন্তু সেটা আকাশ-পাতাল নয়। দিনশেষে সবাইকে ফুটবলটাই খেলতে হবে, আর সেখানে স্কিল থাকাটা বড় কথা। আমার মনে হয়, এ জায়গায় ব্রাজিলিয়ানরা পিছিয়ে নেই।’
২৫ মার্চ ভোরে ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।