যুদ্ধে ইউক্রেনের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনর্গঠনে কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগবে। আর এজন্য খরচ হবে ৪১১ বিলিয়ন ডলার। এমনটাই বলছে বিশ্ব ব্যাংক। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মতে, কেবল বিধ্বস্ত শহরগুলো থেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতেই লাগবে ৫ বিলিয়ন ডলার।
ইউক্রেন সরকার, ইউরোপীয় কমিশন ও জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে হিসাবটি তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (২২ মার্চ) প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, যতদিন যুদ্ধ চলতে থাকবে, ততদিন পুনর্নির্মানের ব্যয়ও বাড়তে থাকবে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন পুনর্গঠনে আনুমানিক ৩৪৯ বিলিয়ন ডলার লাগবে। সবশেষ প্রতিবেদনে যুদ্ধের কিছু অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির বিবরণ দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, ২০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটির বেশি জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। ৬৫০টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত বা চুরি হয়েছে। এছাড়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৬১ শিশুসহ অন্তত ৯ হাজার ৬৫৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে ভবন ও অবকাঠামোর সরাসরি ক্ষতির জন্য ১৩৫ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক পতনকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিশ্বব্যাংকের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট আনা বজেরদে বলেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা পুনর্গঠনে ১০ বছর সময় লেগে যাবে।
বজেরদে আরও বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে না তুললে ক্ষয়ক্ষতি আরও হতে পারত। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক, খারকিভ ও খেরসনের মতো শহরগুলোতে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল ২০২৩ সালেই বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন কিয়েভের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মঙ্গলবার বলেছে, প্রায় ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চার বছরের অর্থায়ন প্যাকেজের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে কর্মী-স্তরের চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।