চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধানের বাড়ন্ত সময়ে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পানি পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে বাড়তি টাকা খরচ করে সেচ দিতে হচ্ছে। খরচ বেশি ও ফলন কম হওয়ার শঙ্কায় চাষিরা।
এদিকে জিকে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি পাম্পের দুটি অচল থাকায় পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকদের পানি সরবরাহ করা হয়। বোরো ধান রোপণের সময় পানি দিলেও বর্তমানে ক্যানেলে পানি নেই। বাড়ন্ত সময়ে পানির অভাবে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশ কয়েক মাস জেলায় বৃষ্টির দেখা নেই। এতে চরম দুশ্চিন্তায় চাষিরা। এতে বাড়তি টাকা খরচ করে কিনতে হচ্ছে পানি। তাই উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনটি পাম্পের দুটি অচল থাকায় স্বাভাবিক পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম।
জেলায় ৩৪ হাজার ৩৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হচ্ছে। জিকে সেচের আওতায় রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গায় ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর ধানের জমি।
১৯৬২ সাল থেকে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা জেলার ১৩টি উপজেলায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পে ৩টি পাম্পের মাধ্যমে সেচ দেয়া শুরু করে পাম্প হাউস। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে জাপানের ইবারা করপোরেশন ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্প তিনটির পুনর্বাসন করে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত জিকে পাম্প হাউসের ৩টি পাম্প রক্ষণাবেক্ষণ করে ইবারা করপোরেশন। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের ৪ জুন ৩ নম্বর এবং ২০২২ সালের ২৯ জুন ১ নম্বর পাম্পটি অকেজো হয়ে পড়ে। জিকের এই তিনটি পাম্প থেকে ১৯৩ কিলোমিটার মূল খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল এবং ৯৫ কিলোমিটার সেচ খালের মাধ্যমে কৃষকদের সেচ দেয়া হয়।