লেবাননের অর্থনৈতিক সংকট কাটছেই না। ক্রমে বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ থেকে আবারও রাস্তায় নেমেছে দেশটির মানুষ। তবে সংকট সমাধানের বদলে দেশটির সরকারকে বিক্ষোভ দমনেই বেশি মনোযোগী।
দেশটিতে ২০১৯ সাল থেকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দেশটির মুদ্রায় এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি এখন চরমে। শাসকগোষ্ঠী বহু বছর ধরে লাগামহীন অব্যবস্থাপনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে লেবাননের মোট জনসংখ্যা ৬০ লক্ষ। তার তিন-চতূর্থাংশই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছেন। অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট। এর বিরুদ্ধে মাঝেমাঝেই মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়।
গত বুধবার (২২ মার্চ) থেকে দেশটিতে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদ ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাজধানী বৈরুতে সরকারি দফতরগুলোর বাইরে বিক্ষোভ করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যরারা। তাতে যোগ দেন সাধারণ জনতাও। তবে দাঙ্গা পুলিশ ও সেনারা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। জবাবে বিক্ষোভকারীরা সরকারি সদরদপ্তরের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারেন এবং বারবার বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন।
মূলত অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও ব্যাংকের আমানতকারীরা এ বিক্ষোভের ডাক দেন। স্থানীয় ব্যাংকগুলো চলমান সংকটের মোকাবিলায় অনানুষ্ঠানিকভাবে মূলধনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া চালুর পর আমানতকারীরা তাদের নিজেদের জমানো টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন।
এই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় মুদ্রা স্বল্পতার মোকাবিলা করতে অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যাদের ডলার অ্যাকাউন্ট আছে, তারা শুধু ছোট আকারে কালোবাজারে মুদ্রা বিনিময়ের হারের চেয়ে কম হারে লেবানিজ পাউন্ড উত্তোলন করতে পারছেন।