আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এরই মধ্যে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে দলটি। নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সে কারণেই এ তৎপরতা তাদের।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাঠে তৎপর বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা বললেও ভেতরে ভেতরে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, সব স্তরের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের বার্তা যেমন দেয়া হচ্ছে ঠিক তেমনি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চলছে নানা কর্মসূচি। দলটির নেতারা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে সরকার, কেটে যাবে নির্বাচনকালীন সরকারের সংকট। এ জন্যই নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন তারা। ইশতেহারে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষাসহ নানা বিষয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমাদের যে প্রস্তুতি আছে তার কিছু নিশানা আপনারা ইতোমধ্যে আমাদের ২৭টি ইস্যু নিয়ে দেয়া বক্তব্যে দেখতে পেয়েছেন। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে যদি ব্যাপক কোনো পরিবর্তন হয় তাহলে আমরাও আমাদের চিন্তা ধারায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসব।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রস্তুতি চলছে। সামনে আরও ঘোষণা আসবে আমাদের।
গণঅবস্থান, গণমিছিল, পদযাত্রা, সমাবেশ এখন পর্যন্ত এ ধরনের গণসংযোগমূলক কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন- মুখে আন্দোলনের কথা বললেও কর্মসূচির ধরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বিএনপির কর্মকাণ্ড এগুলো সব গণসংযোগ ও দলকে গোছানোর চেষ্টা। তাদের শেষ লক্ষ্য কিন্তু নির্বাচন অর্থাৎ তারা নির্বাচনে যাবে এটা আমার ধারণা। কারণ, নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে ধরে নিয়েই বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।