প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলব। সেখানেও জয়লাভ করব। আর সে খেলোয়াড় এখান থেকেই গড়ে ওঠবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সঙ্গে পড়াশোনা করতে জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, খেলাধুলায় মন ভালো থাকে, স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই সবাইকে খেলাধুলার সঙ্গে পড়াশোনাও করতে হবে। নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২২’ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সামনে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করব। আজকের সোনামণিরাই আগামী স্মার্ট বাংলাদেশের হাল ধরবে। এজন্য মানবিক গুণাবলী নিয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা, রাজনীতি, বিজ্ঞানে সব জায়গায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে হবে। বাংলাদেশকে বিশ্ব পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
এ সময় খেলাধুলার গুরুত্ব বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে একটি অংশ পাঠ করেন। বলেন, ‘আমার বাবা জেলখানায় থাকতে বই লিখে গেছেন। তার আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন যে, আব্বার (প্রধানমন্ত্রীর দাদা) টিম আর আমার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) টিমের যখন খেলা হতো, তখন জনসাধারণ খুব উপভোগ করতো। আমাদের স্কুল টিম খুব ভালো ছিল। মহকুমায় যারা ভালো খেলোয়াড় ছিল তাদের এনে ভর্তি করতাম এবং ফ্রি করে দিতাম।’
ফলে ভালো খেলোয়াড়দের প্রতি স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বিশেষ নজর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা ভালো খেলোয়াড় তারা যেন ঝরে না পড়ে। প্রয়োজনে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করবে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আছে তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরদেরও মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। শিক্ষকের কথা মানতে হবে, বাবা মায়ের কথা মানতে হবে।
নিজের পাঠ্যবই ছাড়াও বিজ্ঞানের বই, ইতিহাসের বই, রাজনীতির বই পড়তে হবে। নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলেও জোর দেন শেখ হাসিনা।