রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রেলপথে পরিবহনের সময় দেশটির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি চালানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সোমবার (২০ মার্চ) কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে নেয়ার সময় বেশ কয়েকটি কালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় সংযুক্তির নবম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার অঘোষিত সফরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সফরের পরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চালান ধ্বংসের ঘটনাটি ঘটল।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলেছে, ‘অধিকৃত ক্রিমিয়ার উত্তরে ঝাঁকোই শহরে একটি বিস্ফোরণে রাশিয়ান ক্যালিবার কেএন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস হয়েছে। সেগুলো রেলপথে পরিবহন করা হচ্ছিল।’ তারা আরও জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নেয়া হচ্ছিল।
রাশিয়ার নিয়োগকৃত ঝাঁকোই প্রশাসনের প্রধান ইহোর ইভিন রাশিয়ান সংবাদসংস্থা তাসকে জানান, শহরটি ড্রোনের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি একটি ড্রোনের আঘাতে আঘাত পেয়েছিলেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান একটি বাড়ি, স্কুল এবং মুদির দোকানে আগুন লেগেছে। হামলায় উপবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্রিমিয়ার রাশিয়ার নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসেনভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন। ঝাঁকোই শহরের আশপাশে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছিল। তবে হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি রুশ কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়া প্রায় ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০২২ এর জুলাই মাসে রাশিয়ার একটি সাবমেরিন থেকে ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনীয় শহর ভিন্নিতসিয়াতে ৩ শিশুসহ ২২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
এদিকে ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে হামলাসহ দেশটির অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়। তবে খুব কম সময় ইউক্রেন রাশিয়ার বিপক্ষে এইসব হামলার দায় স্বীকার কররেছে। তবে হামলায় রাশিয়ার ক্ষতি হলে তারা স্বাগত জানিয়েছে।
মস্কো ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে। মস্কোর এই পদক্ষেপ অনেক দেশ অবৈধ বলে নিন্দা করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার দখলকৃত সমস্ত ইউক্রেনের ভূমি পুনর্দখল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।