আগামী ২২ মার্চ পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে ৬টিকেই ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
সামবার বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিং এ পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মোঃ সেলিম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাধবী রায় সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দৈনিকের এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজএ জানানো হয় যে, নাজিরপুরে ৩১০ টি, নেছারাবাদে ১০০টি, কাউখালীতে ১০০টি, পিরোজপুর সদরে ১৩৩টি, ইন্দুরকানীতে ৭৪টি, ভান্ডারিয়ায় ১৬৬টি এবং মঠবাড়িয়ায় ২৭৭টি গৃহ উদ্বোধন করবেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা প্রশাসক জানান ইতিপূর্বে ৪ হাজার ১১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলাকে পরবর্তীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে। এদিন তিনি ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ২৬০টি ও ৪র্থ পর্যায়ের ৯শতটি মিলিয়ে মোট ১ হাজার ১শত ৬০টি গৃহহীন পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে কবুলিয়ত দলিল, জমির খতিয়ান, গৃহ প্রদানের সনদসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।
প্রেস ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পিরোজপুরে ইতোপূর্বে যাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন কোন আশ্রয়ণ প্রকল্পে কবরস্থান এরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন কোনটিতে খুব কাছাকাছি এ প্রকল্পের বাসিন্দা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এদের সকলের জন্যই যথাসম্ভব সবকিছুই করা হবে। এ উদ্বোধনী কর্মসূচি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে গণভবন প্রান্ত হতে ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে।
স্থানীয়ভাবে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, উপকারভোগী ও সূধীজনরা উপস্থিত থাকবেন।