কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। তবে কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেয়ার প্রস্তুতি থাকবে।
সোমবার (২০ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজারে বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।
১৪ বছরের নৌবাহিনীতে আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এ সাবমেরিন ঘাঁটি।
মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর বিশাল অবদান রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়াও আধুনিকভাবে করে গড়ে তোলা হচ্ছে সব বাহিনীকে। এরইমধ্যে ৩১টি যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সাবমেরিন ঘাঁটিতে নোঙর করতে পারবে ৬টি সাবমেরিন ও ৮টি যুদ্ধজাহাজ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই; তবে কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে।’
কক্সবাজারে সাবমেরিন ঘাঁটির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে সামরিক সক্ষমতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এ উপলক্ষে সাবমেরিন ঘাঁটি এলাকা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। দেশের ইতিহাসে প্রথম এই সাবমেরিন ঘাঁটিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে সাবমেরিনাদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র।
২০১৭ সালে সাবমেরিন যুগে প্রবেশের পর কর্ণফুলী নদীর ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে রাখা হতো বানৌজা ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে সাবমেরিনদুটি। কিন্তু এর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থেই বিশেষায়িত ঘাঁটির প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা।