লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি ভালো নয় জানিয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পশ্চিম হিমালয়ের লাদাখ অঞ্চলের কিছু কিছু অংশে ভারত ও চীনের সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ ভারতীয় সেনা আর চীনের ৪০ সেনা নিহত হন। সেসময় এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার পর।
এর দুবছর পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেসময়ও আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নতুন করে এবার লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি ভালো নয় বলে দাবি করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজেই। শনিবার (১৮ মার্চ) এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘সীমান্তের বেশ কিছু অংশে চীন এবং ভারতের সেনাবাহিনী কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। সেখানকার সামরিক পরিস্থিতি বিপজ্জনক।’
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যেসব সমঝোতা হয়েছিল, চীনের তা বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তা তারা এখনও করেনি বলে দাবি জয়শঙ্করের। তবে তিনি জানান, অনেক এলাকা থেকে দুই পক্ষই সেনা সরিয়ে নিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেছিলেন, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শক্তি বৃদ্ধি করছে চীন। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন পরিকাঠামো। কমানো হয়নি সেনাসংখ্যাও। তবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
চীন সীমান্ত নিয়ে সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যের পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন উদ্বেগে শুরু হয়েছে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা।