ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে পুলিশ তার নয়াদিল্লির বাড়িতে হানা দেয়। দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা রাহুলের বাড়িততে হাজির হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় অংশ নেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘নারীরা এখনো যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে তাকে আইনি নোটিশ পাঠায় পুলিশ। নোটিশে জানতে চাওয়া হয়, কোন কোন নারী যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে তার (রাহুলের) কাছে এসেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টকে আমলে নিয়ে পুলিশ গত ১৬ মার্চ রাহুল গান্ধীর কাছে নোটিশ পাঠিয়ে ‘যেসব নারী তার কাছে যৌন হয়রানির বিষয়ে জানিয়েছেন’ তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানোর আহ্বান জানায়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুদার নেতৃত্বে একটি দল রাহুল গান্ধীর ১২, তুঘলক লেনের বাসায় পৌঁছেছে।
পুলিশ পৌঁছার খবর পেয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও রাহুল গান্ধীর বাড়িতে পৌঁছেন। যাদের মধ্যে আছেন রাজস্থানের মূখ্যমন্ত্রী আশোক গেহলট, রাজ্যসভার এমপি অভিশেক মানু সিংভি ও জয়রাম রমেশ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাহুল গান্ধী জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমি শুনেছি, নারীদের বিরুদ্ধে এখনো যৌন সহিংসতা অব্যাহত আছে।’ তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শেষ হয় শ্রীনগরে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, পুলিশ রাহুলের কাছে ভুক্তভোগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে যাতে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া যায়।
কংগ্রেসের একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা সুয়োমোটোর ভিত্তিতে এ ধরনের নোটিশ জারি করার কোন আইনি ভিত্তি নেই।
কংগ্রসের নেতাদের মতে, এটি কংগ্রেসকে হয়রানি করার জন্য দিল্লি পুলিশের নতুন অস্ত্র। তারা বলেন, ‘এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া যেতে পারে। তবে তারা তাকে (রাহুল গান্ধী) ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ করতে বাধ্য করতে পারে না। এ ধরনের উদ্যোগ ক্ষতিকর ও ভুয়া।’