আগের মতো আর নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পাতা ফাঁদে আর পা দেবে না বিএনপি।’
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা কোনো দেশেই নেই; কিন্তু কেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক প্রয়োজন? কারণ একটি দল আরেকটি দলকে বিশ্বাস করে না। সে রকম অবকাঠামো এখনও গড়ে উঠেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭৩ দিনের হরতাল, সহিংসতাসহ সবকিছু চিন্তা করে ১৯৯৬ সালে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন বেগম জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ বেমালুম তা ভুলে গেছে। ব্রিটিশ আমলের জমিদার হতে পারেনি বলে তাদের দুঃখ হচ্ছে। তাই সে ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। আগের মতো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না, আর আ.লীগের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। বারবার ঘুঘু ধান খেতে পারবে না। নির্বাচনের নামে কোনো তামাশা করতে দেয়া হবে না।’
নিজ হাতে আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অতীত মনে করিয়ে দিলেই তাদের (আওয়ামী লীগ) গায়ে জ্বালা ধরে। আমার (ফখরুলের) মনে বিষ খোঁজে তারা।’
আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) মুখে এক, মনে আরেক৷ কোনো মিডিয়া এখন আর গণতন্ত্রের কথা বলে না। দেশের মানুষ ভিতু হয়ে পড়ছে। তারা বলতে পারছে না একনায়কতন্ত্র কেন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
‘পুলিশের গুলি খেয়ে কেউ মরলে বলা হয় তারা মানুষ নয়, বিএনপি। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলে কেন প্রতিবাদ হয় না। সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় কেন তথাকথিত সুশীল সমাজ কোনো প্রতিবাদ করে না।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘জনসভায় বাধা দেয় না, এটা আরেক শয়তানি আওয়ামী লীগের। পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের গঠন করা শান্তিবাহিনীর মতো শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দুষ্টামি করেছে, ভণ্ডামি করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তা দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’