তোশাখানা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গ্রেফতার এড়াতে পারবেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ইমরান খানকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। খবর দ্য ডনের।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযান না চালাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন লাহোরের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পর ইমরানের জামান পার্কের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ইমরানের গ্রেফতার ইস্যুতে আদালতে শুনানি চলে। তোশাখানা মামলায় ইমরান আত্মসমর্পণ করলে তার গ্রেফতার স্থগিত করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতের বিচারক জাফর ইকবাল। একইসঙ্গে, আগামী রোববার (১৯ মার্চ) লাহোরে পিটিআইএর নির্ধারিত সমাবেশ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইমরান খানকে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের প্রতিনিধিদের সাথে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে এক সঙ্গে আলোচনা বসা প্রয়োজন। এ সময় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন শাহবাজ। নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানে চালানো এক গবেষণায় দেখা যায়, এ মুহূর্তে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান। জনসমর্থনের দিক থেকে তার ধারেকাছেও নেই আর কোনো নেতা। এমনকি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চেয়ে জনপ্রিয়তায় দ্বিগুণ এগিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান। আর এ জনপ্রিয়তাই তার জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে কি-না, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে পাকিস্তানের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে দেশটি। চলমান পরিস্থিতির জন্য শাহবাজ সরকারকে দায়ী করছে পিটিআই।
অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছেন ইমরান খান। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন হলে আবারও পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসতে পারেন পিটিআই নেতা।