বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক সুখস্মৃতির মাঝে কাতার বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মরুর বুকে বিশ্বকাপের আসরটি যতটুকু রাঙিয়েছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি, ততটুকুই বর্ণহীন রোনালদোর জন্য।
পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদো। ইউরো, উয়েফা নেশন্স লিগসহ অজস্র সাফল্যের রূপকার পর্তুগিজ এই ফুটবল স্টার। তার হাত ধরেই বর্তমান ফটুবল দুনিয়ায় আলাদা জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। অর্থচ দলের সেরা তারকাকেই কিনা মরুর বুকে বসে থাকতে হয়েছে সাইড বেঞ্চে।
ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরার কোনো সুযোগাই পাননি রোনালদো। শেষের ম্যাচগুলোতে তো একাদশেই তাকে রাখেননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। কোয়ার্টার ফাইনালে চমক দেখানো মরক্কো হারায় পর্তুগালকে।
দলের বিদায়ে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন কোচ সান্তোস। সেরা তারকাকে বসিয়ে রাখার খেসারত দেন চাকরি হারিয়ে।
রোনালদোর বয়স ৩৮। অনেকেই তার ক্যারিয়ারের শেষটা দেখে ফেলেছিলেন। তবে রোনালদো তো আর দমে যাওয়ার পাত্র নন। ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দিয়ে ভালোই আছেন। ৯ ম্যাচে গোলও করে ফেলেছেন আটটি।
এদিকে সান্তোসের বিদায়ের পরে পর্তুগালের নতুন কোচ হয়েছেন রবার্তো মার্টিনেজ। নতুন এই কোচ হীরা চিনতে ভুল করেননি। দলের সেরা তারকাকে বাদ দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত তিনি নেননি।
২০২৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে লিখটেনস্টেইন ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। সেখানে অবশ্যম্ভাবীভাবে রাখা হয়েছে রোনালদোকে। দেশটির পঞ্চম এই কোচ রোনালদোকে নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
কোচ রবার্তো মার্টিনেজ বলেন, ‘জাতীয় খেলা সবাইকে আমরা সুযোগ দিতে চাই। রোনালদো দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এখনও তিনি সেরা ছন্দে আছেন। দলের জন্য তাকে প্রয়োজন। রোনালদো জানেন বড় মঞ্চে কীভাবে ম্যাচ জেতাতে হয়। আমি আনন্দিত তাকে সুযোগ দিতে পেরে।’
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন রোনালদো। এখন পর্যন্ত পর্তুগালের হয়ে ১৯৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১১৮টি গোল করেছেন।