নাটোরে ভুয়া শিক্ষা সনদ দিয়ে দলিল লেখকের সনদ নেয়ার অভিযোগে ৭ জনের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজশাহী জেলার রেজিস্ট্রার মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে এ তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তকালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ জন ভুয়া দলিল লেখকের বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যথাসময়ে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেবেন বলে জানান।
জাল সনদ নেয়া ৭ দলিল লেখকের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মর্মে প্রতিকার চেয়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন। সদর উপজেলার দিয়ারভিটা এলাকার এ ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত হচ্ছে বলে জানান মতিউর রহমান।
আনোয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগে বলেন, দলিল লেখকের লাইসেন্স পেতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় এসএসসি পাস। মো. আশিক আলী, মো. বাবুল আক্তার, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল লতিফ, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. সেলিম আলী এবং শহিদুল ইসলাম, যারা এসএসসি পাসের ভুয়া জাল সনদ দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে দলিল লেখকের কাজ করছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নাটোর সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এ ৭ দলিল লেখককে জাল সনদের অভিযোগে একটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে অদৃশ্য কারণে এতদিন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।