পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতারে আবারও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। দুইদিন চেষ্টার পরও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাহোরে ইমরান খানের বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ডনের প্রতিবেদন মতে, তোষাখানা মামলায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দ্বিতীয়বারের মতো ইমরান খানকে তার বাসভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন ইসলামাবাদ পুলিশ। তবে আগেরবারের মতো নেতার গ্রেফতার ঠেকাতে এদিনও আগেভাগেই তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন পিটিআই নেতাকর্মীরা।
ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পিটিআই নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে পুলিশ। ইট-পাটকেল দিয়ে তার জবাব দেয় পিটিআই কর্মীরা। ফলে এদিনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে দ্বিতীয়দিনের মতো অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এবার ইসলামাবাদ পুলিশের বিশাল একটা বাহিনীর পাশাপাশি পাঠানো হয় পাঞ্জাব রেঞ্জার্স। এদিন পিটিআই কর্মী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ হলেও ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী।
অবশেষে গ্রেফতার না করেই ফিরেরে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার (১৫ মার্চ) লাহোরে একটি ক্রিকেট ম্যাচ থাকায় গ্রেফতার অভিযান বাতিল করা হয়েছে। ইমরান খানের বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশি অভিযান স্থগিত করেছে লাহোর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারক তারিক সেলিম এ বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি নেতাদের দেয়া রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার অভিযোগে একটি মামলায় (তোষাখানা মামলা) সম্প্রতি ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ওই মামলায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রোববার (৫ মার্চ) তাকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতারের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার না করেই ফিরে যায় নিরাপত্তা বাহিনী।