কাতার বিশ্বকাপের আমেজ শেষ না হতেই পরের বিশ্বকাপের আলোচনায় মুখর ফুটবল দুনিয়া। ২০২৬ সালে ফুটবলের ২৩তম বৈশ্বিক আসরটি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাড ও মেক্সিকোতে। প্রচলিত সংস্করণ থেকে এই আসরটি হবে আলাদা।
রুয়ান্ডার কিগালিতে ফিফা কংগ্রেসের আগে জানানো হয়, আগামী বিশ্বকাপে ৬৪ ম্যাচের বদলে ১০৪টি ম্যাচ হবে। আর দলের সংখ্যা থাকবে ৪৮টি। এই ৪৮ দল ১২টি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। যেখানে প্রতি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ১২টি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল করে মোট ২৪ দল চলে যাবে পরের রাউন্ডে বা দ্বিতীয় পর্বে। এই ২৪ দলের সঙ্গে যোগ হবে আরও ৮টি দল। ১২ গ্রুপের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ বাদে যারা পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে তাদের থেকে নেয়া হবে এই ৮ দল।
৩২ দল নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। সেখান থেকে ১৬ দল খেলবে তৃতীয় পর্বে। এই পর্ব থেকে ৮ দলকে নিয়ে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। তারপরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ২৩তম আসরটি ৩৯ দিনে (সবমিলিয়ে ৫৬ দিন) সম্পন্ন করার কথা জানানো হয়েছে। আগে প্রয়োজন হতো ৩২ দিন।
এ দিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২৩তম আসরটি হবে দ্বিতীয় যৌথ আয়োজন। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করেছিল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। যেটি ছিল এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপ নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র, কানাড ও মেক্সিকোতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ হবে প্রচলিত জুন-জুলাইয়ে। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুলাই। মূলত কাতারের গরম আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে প্রচলিত সময়ের বাইরে ২২তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এর আগে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল মেক্সিকো। সে হিসেবে তৃতীয়বারের মত দেশটিতে বসবে ফুটবল মহাযজ্ঞ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা। ১৯৯৪ সালে মার্কিন দেশটি প্রথম আয়োজন করেছিল। আর কানাডা এবারই প্রথম আয়োজন করতে যাচ্ছে জনপ্রিয় এই বৈশ্বিক আসর।