‘অকাস’ চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দেয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চুক্তি করে ভুল ও বিপজ্জনক পথে পা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। খবর আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো নৌঘাঁটিতে মিলিত হয়ে সোমবার ত্রিদেশীয় জোট ‘অকাস’র পরিকল্পনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তিন দেশের নেতারা অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দেয়ার চুক্তিটি এদিন চূড়ান্ত করেন। এ বিষয়ে জোটটিকে সতর্ক করেছে চীন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন চুক্তি করে অকাস জোটের মিত্ররা ‘ভুল ও বিপজ্জনক পথে’ পা বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ যৌথ বিবৃতি প্রমাণ করে, দেশ তিনটি তাদের নিজস্ব ভূরাজনৈতিক স্বার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে একেবারেই উল্টো পথে হাঁটছে।
পশ্চিমা মিত্ররা অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন দেশের এই নিরাপত্তা চুক্তি স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। এই সাবমেরিন বিক্রি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তাররোধ চুক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতি পারমাণবিক সাবমেরিন কেনাবেচার চুক্তিটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
২০২১ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি বিশেষ কৌশলগত নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে অকাস জোটের ঘোষণা দেয়া হয়। সে সময় চুক্তির অধীনে সাবমেরিন ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়েও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা।