রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অস্থির ইউরোপের জ্বালানি শক্তির বাজার। সংকট কাটাতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা। এদিকে জ্বালানি সরবরাহে জার্মানির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আজারবাইজান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই জ্বালানি সংকটে ইউরোপের দেশগুলো। বিভিন্ন দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করলেও এ জন্য দিতে হচ্ছে চড়া মূল্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এই খাতের অস্থিরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইইউ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউর শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদে পারমাণবিক বিদ্যুৎসহ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উচ্চমূল্য ঠেকাতে বাজার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে ইউরোপের সাধারণ মানুষের ওপর জ্বালানির উচ্চমূল্য পরিশোধের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ কমে আসবে বলেও মত ইইউর শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
তবে ইইউর পক্ষ থেকে এই পুরো খাতকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হলেও জোটটির সব দেশের মধ্যে আলোচনা জরুরি বলে মত জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে জ্বালানি খাতে জার্মানির অন্যতম বাণিজ্য বন্ধু হতে যাচ্ছে আজারবাইজান। জ্বালানি সংকটে নবায়নযোগ্য সবুজ শক্তি সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ দেশটি। মঙ্গলবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেগের কারণে আজারবাইজানের সঙ্গে শুধু জার্মানি নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি শক্তি সরবরাহে দেশটি হতে পারে সম্ভাবনার। আশা করছি, শুধু তেল ও গ্যাস নয়, নবায়নযোগ্য সবুজ শক্তি উৎপাদনেও দেশটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বের জ্বালানি বাজারে স্বস্তি ফেরানো অনেকটাই কঠিন হবে।