ভারতে পাচারের সময় রাজবাড়ীর পাংশা থেকে ১০টি স্বর্ণের বারসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের শুকুর আলী শেখের ছেলে ছাত্তার শেখ (৩৩), বড় বনগ্রামের আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (১৯) ও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৮)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, ভোরে পাংশা থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রাম থেকে নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার করে ফিরছিল। এ সময় ওই গ্রামের আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে দুজন ব্যক্তি দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ সদস্যরা গতিরোধ করলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক ছাত্তার জানান তার কাছে তিনটি স্বর্ণের বার ছিল, যা সে দৌড়ে পালানোর সময় রাস্তার পাশে ফেলে দিয়েছে। সে সময় ছাত্তারের দেখানো রাস্তার পাশ থেকে তিনটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দুজনের দেহ তল্লাশি করে নাহিদুলের পরিহিত দুই জুতার মধ্য থেকে আরও ৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। ছাত্তার ও নাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের মোবাইলে বার বার কল দিচ্ছিল গ্রুপের অপর সদস্য জহুরুল। পরে ওই স্থান থেকে জহুরুলকেও আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এই চক্রটি ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। জব্দ ১০টি স্বর্ণের বারের ওজন ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার মূল্য আনুমানিক সাত কোটি টাকা। আটকদের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।