অবশেষে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে চীন। করোনা মহামারির কারণে প্রায় তিন বছর বন্ধ রাখার পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বুধবার (১৫ মার্চ) থেকেই ফের ভিসা কার্যক্রম শুরু হবে।
২০২০ সালের শুরুর দিকে চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে চীনা কর্তৃপক্ষ। যার অংশ হিসেবে বিদেশি পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে দেশটির পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
গত মাসে শি জিনপিং সরকার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করে। এরপর সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন খাতকে স্বাভাবিক করে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের যেসব অঞ্চলে করোনা মহামারির আগে কোনো ভিসার প্রয়োজন ছিল না, সেগুলো আবারও ভিসামুক্ত অঞ্চলের আওতায় আসবে।
এর মধ্যে থাকবে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ হাইনান ও সাংহাই বন্দরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ক্রুজ জাহাজও। এছাড়া হংকং ও ম্যাকাও থেকে বিদেশিদের জন্য দক্ষিণাঞ্চলীয় উৎপাদনকেন্দ্র গুয়াংডং যেতে ভিসামুক্ত যাতায়াত ফের চালু করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৮ মার্চের আগে ইস্যু করা ভিসাধারী বিদেশিরা, যাদের এখনো মেয়াদ রয়েছে, তারাও চীন ভ্রমণ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সবার জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ায় সামনে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে চীনে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা।