এক বছরে ১৬১ বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৭ লাখ কোটি (১৬ লাখ ৮৯ হাজার কোটি) টাকা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরামকো আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরব ওয়েল কোম্পানি নামে পরিচিত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর জবাবে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার ফলাফল হিসেবে তেল-গ্যাস উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ এ দেশটির তেল-গ্যাস রপ্তানি অনেকটাই কমে যায়। যার সুবিধা পেয়ে সৌদি আরামকো অনেকটা একচেটিয়া ব্যবসা করে এ মুনাফা অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি মুনাফার প্রত্যাশা করছে। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি ভোক্তা দেশ চীন তার দীর্ঘ দিনের কোভিড বিধিনিষেধ বাতিল করে বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।
সৌদি আরামকোর সিইও ও প্রেসিডেন্ট আমিন এইচ নাসের মুনাফার পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতেও তেল এবং গ্যাস অপরিহার্য থাকবে হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে তারপরও এই খাতে বিনিয়োগ এবং উচ্চ মূল্যের কারণে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের সে বিষয়টি নিয়েই চলতে হবে।’
সৌদি আরামকো ২০২১ সালে মুনাফা করেছিল ১১০ বিলিয়ন ডলার। যার তুলনায় বিগত বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ৪৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে কোভিড মহামারির মধ্যেও মুনাফা করেছিল ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
আরামকো বর্তমানে প্রতিদিন ১ কোটি ১৫ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে থাকে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৭ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল করতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।