আগেকার দিনে রাজ-রাজাদের মধ্যে বহুবিবাহের চল ছিল। তবে বর্তমান ভারতীয় আইনে এর একেবারেই স্বীকৃতি নেই। কিন্তু প্রেমের টান কি আর আইনের তোয়াক্কা করে! তাই তো একই মণ্ডপে এক যুবকের গলাতেই মালা দিলেন দুই তরুণী।
শুনতে অবাক লাগলেও, সম্প্রতি এমনই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ভারতের তেলেঙ্গানার একটি গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন সাত্তিবাবু নামে এক যুবক।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্না নামে এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। দুজনে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে সুনীতা নামে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সাত্তিবাবুর পরিচয় হয়। প্রথম দেখাতেই দুজনের দুজনকে বেশ ভালোও লেগে যায়। কিন্তু তার তো প্রেমিকা রয়েছে, তাই ইচ্ছা থাকলেও প্রথমে সুনীতার সঙ্গে কোনো সম্পর্কে জড়াননি সাত্তিবাবু।
তবে একবার যাকে মনে ধরেছে, তাকে ছেড়ে আর কতদিনই বা থাকা যায়! তাই সুনীতার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই দেখা করতে যেতেন সাত্তিবাবু। এভাবেই কয়েকমাসের মধ্যে তাদের সম্পর্ক যথেষ্ট গাঢ় হয়।
এদিকে সাত্তিবাবু জানতেন, এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেবেন না স্বপ্না। বাস্তবে হলোও তাই। প্রেমিকের নতুন সম্পর্কের কথা শুনে বেজায় চটে যান স্বপ্না। তখনই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন সাত্তিবাবু।
তিনি ঘোষণা করেন, সুনীতা ও স্বপ্না দুজনকেই বিয়ে করবেন। তারা যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশ, সেখানে এখনও পুরুষের বহুবিবাহের প্রচলন আছে। তাই সবার বাড়ি থেকেই সম্মতি জানায় তার এই প্রস্তাবে। সুনীতা প্রথম থেকেই জানতেন সাত্তিবাবুর অন্য সম্পর্কের কথা। তাই এই বিয়েতে তার কোনো আপত্তি ছিল না।
অন্যদিকে প্রথমে বিরোধিতা করলেও, পরে রাজি হন স্বপ্নাও। একইদিনে আয়োজন হয় বিয়ের। তিন পরিবারকে সাক্ষী রেখে দুই প্রেমিকাকে একইসঙ্গে বিয়ে করেন সাত্তিবাবু।