গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে পিএসজিকে বিদায়ে পর এবার বুন্দেসলিগায় ঘরের মাঠে অগসবার্গকে বিধ্বস্ত করল বায়ার্ন মিউনিখ। শনিবার (১১ মার্চ) আলিয়াঞ্জ এরিনায় অগসবার্গকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
এই বায়ার্নকে যেন কারো থামানোর সাধ্য নেই। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুনচেনগ্ল্যান্ডব্যাকের কাছে পরাজয় ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই হারেনি জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দল। শনিবারও তাদের থামাতে পারেনি টেবিলের ১৩ নম্বরের দল অগসবার্গ।
তবে ঘরের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। অগসবার্গ স্ট্রাইকার মের্গিম বেরিশার দুর্দান্ত এক ভলিতে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। কিন্তু এরপর এক অন্য বায়ার্নকে দেখে সমর্থকরা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে সানের পাস থেকে বায়ার্নের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করেন ম্যানসিটি থেকে ধারে আসা জোয়াও ক্যানসেলো।
প্রথম গোলের চার মিনিট পরই আবারো গোল করে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড দেয় বায়ার্ন। ডি-বক্সের ভেতরে বাইসাইকেল শটে গোল করতে চেয়েছিলেন মানে, তবে ঠিকঠাকভাবে তা মারতে পারেননি। সেই বল পেয়ে ওয়ান টাচে গোল করেন ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আবারো বেঞ্জামিন পাভার্ডের গোল। কর্নার থেকে ডি লিখটের হেড ব্লক করে অগসবার্গ ডিফেন্ডার। কিন্তু তা ফিরে যায় পাভার্ডের কাছে, যা পেয়ে ভলিতে গোল করেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। হাফ টাইমের বাঁশি বাজার আগে দলকে চতুর্থ গোল এনে দেন সাদিও মানে। ইনজুরি থেকে ফিরে এটাই তার প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও একপেশে খেলা খেলে বায়ার্ন। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। উল্টো ম্যাচের ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে অগসবার্গের দ্বিতীয় গোল করেন মের্গিম বেরিশা। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আবারো গোল করে বায়ার্ন। এবার ক্যানসেলোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন কানাডিয়ান উইঙ্গার আলফোনসো ডেভিস। আর ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে অগসবার্গের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আরভিন কার্ডোনা।
এই জয়ে টেবিলে শীর্ষস্থান আরও শক্ত হলো বায়ার্নের। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট বায়ার্নের। এদিকে শালকের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ডর্টমুন্ড।