আরও একটি হতাশা নিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। বুধবার (৮ মার্চ) রাতে আলিয়াঞ্জ এরিনায় বায়ার্নের কাছে ০-২ গোলে হারে মেসির পিএসজি। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে হেরে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
শুরুতে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য দেখাতে থাকে ফরাসি জায়ান্টরা। বায়ার্নের অগোছালো ফুটবলের ভালো সুযোগ নেয় মেসি-এমবাপ্পেরা। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না পিএসজি। ম্যাচের ১৪ মিনিটে এমবাপ্পে গোল করলেও তা বাতিল হয়ে যায় গোলরক্ষক সোমারকে ফাউল করায়।
২৪ মিনিটে আক্রমণে যায় পিএসজি, তবে ডি-বক্সের ভেতরে জটলা পাকিয়ে ফেলে মেসি এবং এমবাপ্পে। ফলে গোল থেকে বঞ্চিত হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ পায় পিএসজি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজি অধিনায়ক মারকুইনহোস।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে নিশ্চিত গোল পেতে পারত পিএসজি। বায়ার্ন গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে যায় পিএসজি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে খালি জালে বল শুট করেন ভিটিনহা। তবে বায়ার্ন ডিফেন্ডার ডিলিখট গোল লাইন থেকে বল বাঁচিয়ে দেন। তার তিন মিনিট পর গোল করার সুযোগ পায় বায়ার্ন। তবে দোনারুম্মার অসাধারণ নৈপুণ্যে বেঁচে যায় পিএসজি। দ্বিতীয় হাফে গোছালো ফুটবল খেলে ম্যাচটা নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসে বায়ার্ন।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে গোল করেন বায়ার্ন স্ট্রাইকার চুপো মোয়েটিং। তবে অফ সাইডে বাদ হয়ে যায় তার গোল। কিন্তু সেই মোয়েটিং ৬০ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। পিএসজি ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে যায় বায়ার্ন মিডফিল্ডার মুলার। জার্মান এ খেলোয়াড় বল পাস দেন গোরেটজকাকে। তিনি আবার পাস দেন মোয়েটিংকে, যা পেয়ে বল সহজেই জালে জড়ান তিনি।
৬৪ মিনিটে কর্নার পায় পিএসজি। মেসির কর্নার থেকে হেড করেন রামোস। তবে বায়ার্ন গোলরক্ষকের অসাধারণ এক সেভে বেঁচে যায় জার্মান জায়ান্টরা। এরপর একের পর এক আক্রমণ করে যায় বায়ার্ন। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তবে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পিএসজির বেঁচে থাকা আশাটুকুও কেড়ে নেন বায়ার্ন উইঙ্গার জিন্যাব্রি।
ক্যানসেলর পাস থেকে দারুণ এক গোল করে দলকে ২-০ তে লিড এনে দেন জার্মান এ তারকা। শেষ মুহূর্তে সাদিও মানে গোল দিলেও তা অফসাইডে বাদ পড়ে। ফলে দুই লেগেই হেরে গতবারের মতো এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল থেকেই বিদায় নিল পিএসজি।