লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ এবং পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ সদস্য ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, কনস্টেবল মোজাম্মেল এবং আকবর হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতাকর্মী ও তাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন অনুসারী চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষ তারা আফজাল সড়কের মুখে জড়ো হয়ে বক্তৃতা দেন। এ সময় চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদ আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটির অনুসারীরা দলবদ্ধ হয়ে আনন্দ মিছিলে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে পড়ে আহত হন চার পুলিশ সদস্য।
সংঘর্ষে জড়িতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ফলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।