বিশ্বের প্রায় সব দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বাংলাদেশেও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। ক্রীড়া জগতে দারুণ সাড়া জাগিয়েছেন বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়রা। নারী দিবস ঘিরে তারা দিয়েছেন বিভিন্ন বার্তা।
নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীদের কোণঠাসা করে না রেখে, তাদের পছন্দের ক্যারিয়ারের পথটাকে সহজ করে দিতে হবে। সমাজ অনেক সময় নির্ধারণ করে দেয় কোন কাজটা ছেলেদের, আর কোনটা মেয়েদের, যা তাদের একটি গণ্ডির ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা। এ জন্য সমান অধিকারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সমতায়নের। সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’
সমতায়ন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পেসার জাহানারা আলমও। তিনি বলেন, ‘নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথ অতটা সহজ ছিল না। প্রত্যেকের সফলতার পেছনে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংগ্রামের গল্প। তবে সমাজ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে এবং সমতার সমাজ গড়তে সমতায়ন আনতে হবে।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উদীয়মান পেসার মারুফা আক্তার বলেন, ‘নারীরা প্রাপ্য সম্মানটুকু পেতে চায়। ঘরে-বাইরে, পরিবারে কিংবা কর্মস্থলে শুধু সম-অধিকারই যথেষ্ট নয়, সব ক্ষেত্রে নারীর প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পূর্ণতা পাবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তার নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিয়ে বলেন, ‘পথেঘাটে, গণপরিবহনে, কর্মক্ষেত্রে, এমনকি ঘরের নারীরাও এখন অনিরাপদ। বন্ধ হয়নি নারীর প্রতি নির্যাতন। এতসব বাধার পরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। আমাদের এগিয়ে চলার পথ মসৃণ করতে প্রয়োজন সমতায়ন। এই আশা ব্যক্ত করে সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস বলেন, ‘আজ নারীদের সফলতার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কুসংস্কার ও সমাজভীরু দৃষ্টিভঙ্গি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে নারীদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ছিনিয়ে আনতে হচ্ছে বিজয়। সমাজে সমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হোক—এই প্রত্যাশায় সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’