জেনেভার মানবাধিকার পরিষদে জমা দেয়া জাতিসংঘ প্রতিবেদনে আফগানিস্তানে নারীদের ওপর তালেবানের বিধিনিষেধ মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার (৬ মার্চ) প্রকাশিত ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তালেবান সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবিও জানানো হয় জাতিসংঘ প্রতিবেদনে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এর পর থেকেই একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করে তারা। বিশেষ করে নারী স্বাধীনতা ও নারী অধিকারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। দেশটিতে বর্তমানে নারীরা উচ্চ বিদ্যালয় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও যেতে পারেন না।
এরই মধ্যে আফগানিস্তানের সরকারি চাকরিজীবী নারীদের অধিকাংশই চাকরি হারিয়েছেন। বেসরকারি খাতেও একই অবস্থা। নারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তালেবান। এমনকি দেশের ভেতরেও কোথাও যেতে চাইলে সঙ্গে স্বামী বা পুরুষ কোনো আত্মীয় সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সবশেষ এক নির্দেশনায় পার্ক, বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।
নারীদের ওপর তালেবানের আচরণ লিঙ্গভেদে বৈষম্য বা নিপীড়নের সমতুল্য, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সোমবার জেনেভার মানবাধিকার পরিষদে জমা দেয়া জাতিসংঘ প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। গেল বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট।
বেনেটের দাবি, আফগানিস্তানে প্রতিনিয়ত নারীদের মানবাধিকার প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। নারীদের ওপর এমন কড়াকড়ি সামগ্রিকভাবে গোটা জনসংখ্যার ওপরই দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয়কর ফল বয়ে আনবে। আর তাই তালেবান কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান বেনেট।