চলতি বছর দারুণ ফর্মে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একের পর এক জয়ের দেখা পেয়েছে এরিক টেন হ্যাগের দল। সদ্যই জিতেছে ইংলিশ লিগ কাপের শিরোপা। অন্যদিকে লিভারপুলের জন্য মৌসুমটা কাটছে বিস্মরণযোগ্য। সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে গিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের লজ্জায় ডুবেছে রেড ডেভিলরা।
এরিক টেন হ্যাগ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বদলে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিগত কয়েক বছরের হতাশা কাটিয়ে দারুণ পারফর্ম করে ফের শিরোপার লড়াইয়ে ফিরেছে রেড ডেভিলরা। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের হারের স্মৃতি তো এখনও টাটকা। তাই লিভারপুলের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেই এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকে।
অথচ রোববার (৫ মার্চ) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে হারিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এটাই রেড ডেভিলদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার। ১৯২৬ সালে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স, ১৯৩০ সালে অ্যাস্টন ভিলা এবং সবশেষ ১৯৩১ সালে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হেরেছিল ইউনাইটেড।
লিভারপুলের বিপক্ষে এই হার সমর্থকদের দারুণ হতাশায় পোড়াচ্ছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই হার দলটির সমর্থকদের জন্য খুবই বিব্রতকর। এক সপ্তাহ আগে ছয় বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছে রেড ডেভিলরা। খারাপ সময় পেছনে ফেলার আভাস দেয়া দলটির উল্টোযাত্রায় শঙ্কা সমর্থকদের মনে।
তবে সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন ইউনাইটেডের তরুণ আর্জেন্টাইন আলেহান্দ্রো গারনাচো। সমর্থকদের কষ্টটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই ম্যাচের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে তারা।
সোমবার (৬ মার্চ) তিনি লেখেন, ‘আমরা খুবই দুঃখিত। আমরা আপনাদের বৃহস্পতিবার (ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে) প্রতিক্রিয়া দেখাব।’
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।