রফতানির নতুন বাজার খুঁজতে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পণ্য আমদানিতেও সাশ্রয়ী হওয়ার পথ খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মার্চ) কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) পার্শ্ব এক বৈঠকে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
কাতার সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসি সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন একগুচ্ছ পার্শ্ব বৈঠকে।
সোমবার রাতে কাতারে আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নতুন বাজার খুঁজতে দেশের কূটনীতিকদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী৷
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় কূটনীতিটা বেশি ছিল রাজনৈতিক বিষয়ে। কিন্তু এখন এটা বেশি হচ্ছে অর্থনৈতিক বিষয়ে। অর্থাৎ ইকোনমিক ডিপলোমেসি। আমাদের যারা কাজ করছেন, তাদের সবাইকেই লক্ষ রাখতে হবে যে, আমরা কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারি, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কী কী সুযোগ আছে বা আমরা যা আমদানি করি, সেগুলো কীভাবে ন্যায্য দামে কম খরচে আনতে পারি, সেগুলো খুঁজতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাণিজ্য বাড়ানো আমাদের খুব দরকার।’
এর আগে সোমবার বিকেলে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের অডিটোরিয়াম-৩-এ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা৷
স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঁচটি মূল সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকর প্রযুক্তির জন্য বেসরকারি খাতকে প্রণোদনা দেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।