পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়ার চিন্তাভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করেন আদালত। ওইদিন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে চলাচলের অনুমতির চিন্তাভাবনা নেই।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা রিটটি করেছিলেন। এ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
পরে আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকেদের বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল সাময়িকভাবে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে শুনানিতে এসেছে। পরবর্তী সময় এ বিধিনিষেধ তুলেও নেয়া হতে পারে বলে আদালত বলেছেন। কোন সড়কে কোন গাড়ি চলবে, সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন অনেক সড়কে ভ্যানগাড়ি, রিকশা যেতে দেয়া হয় না, যা সরকারের একধরনের নীতি। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানান আদালত। এরপর রিটটি ফেরত নেয়ার কথা জানানো হয়। পরে আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হয়। তারপর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন ২০২২ (সোমবার) সকাল ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। গণবিজ্ঞপ্তি নিয়েই রিটটি করা হয়েছিল। পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ কেন বেআইনি হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ বলেন, রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ হয়েছে। ফলে সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল আপাতত চলাচল করতে পারবে না।