নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ে বাড়ির খাবারে মাংস কম দেয়া নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বরের বাবা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাতে জলঢাকা পৌরসভার আমরুলবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর মোহাম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় কনের বাবা ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে গত সপ্তাহে রংপুরের উত্তম হাজিরহাট বাওয়াইপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে আলীর সঙ্গে জলঢাকার পৌর এলাকার আমরুলবাড়ী গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাতে বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। এতে কনের বাড়িতে ১০০ অতিথি আসার কথা থাকলেও, আসেন প্রায় ১৫০ জন। বেশি অতিথি আসায় খাওয়ার সময় মাংস কম পাড়ায় বর ও কনেপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় কনেপক্ষের লোকজনের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বরের বাবা নুর মোহাম্মদ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
স্থানীয় আব্দুল মালেক বলেন, বিয়ে গত সপ্তাহে হয়েছে। শুক্রবার মেয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে ১০০ আত্মীয় আসার কথা ছিল, তবে আসেন ১৫০ জন। বরের বাবা গাড়িতে ওঠার সময় কনের বাবাকে বলেন, ‘মাংস কম হইছে, আপ্যায়ন কম হইছে।’ এই কথা বলাতে কনেপক্ষের সাথে বরপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বরের বাবাকে মারধর করেন কনেপক্ষের লোকজন। দুপক্ষের সংঘর্ষের পর আর বউ নিয়ে যায়নি বরপক্ষ।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছি।’