পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি ব্যবস্থা বসাতে রাজি হয়েছে ইরান। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধানের সঙ্গে এক আলোচনায় এ বিষয়ে একমত হয়েছে দেশটি। ফলে পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে আবারও চালু করা হবে সিসি ক্যামেরা।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্তের পর পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন ও নজরদারি ব্যবস্থা বন্ধসহ চুক্তির বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়ন স্থগিত করে ইরান। এরপর জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চুক্তিটি কার্যকর করতে ইরান ও বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যত থমকে যায়। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, সব পক্ষ চুক্তি বাঁচাতে সমঝোতার খুব কাছাকাছি চলে এলেও তেহরান ‘অযৌক্তিক’ সব দাবি তুলে অগ্রগতি নস্যাৎ করে দিয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে তেহরান।
গত শনিবার (৪ মার্চ) তেহরানে একটি বৈঠকে বসেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ওই বৈঠকের পর নতুন করে নজরদারি ব্যবস্থা ও ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি ঘোষণা দেয়া হয়।
গ্রোসির সফরের পর আইএইএ’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সমস্যার সমাধানের জন্য আরও তথ্য প্রদান ও পরমাণু কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে তেহরান। এছাড়া ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তির অধীনে অতিরিক্ত নিরীক্ষণ সরঞ্জামগুলো ফের চালু করার অনুমতিও দেবে ইরান।
এ ব্যাপারে গ্রোসি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জামের মাধ্যমে কিছু পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছিল বা সেগুলো কাজ করছিল না। আমরা ওই যন্ত্রপাতিগুলো আবার চালু করতে রাজী হয়েছি।’