শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে শরীয়তপুরের জাজিরায়। গত একমাস যাবত বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। কয়েক হাজার বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে জাজিরা থানা পুলিশের অনেকটা নিরব ভূমিকা পালনের কারণেই এমনটি ঘটছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারপরও পুলিশের গতানুগতিক ভাষ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১লা মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জাজিরার দূর্বাডাঙ্গা এবং বিলাসপুরের বেশ কিছু জায়গায় ফের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বিলাসপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপ এবং গত নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আ: জলিল মাদবরের সমর্থক মেহের আলী মাদবর কান্দি এলাকার সুলতান মাদবরের ছেলে সুজন মাদবরের (২৫) ডান হাতের কব্জি বোমার আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বোমার আঘাতে একই গ্রামের আ: খালেক মাদবরের ছেলে রাসেল মাদবর (২৮), মুলাই বেপারী কান্দির আ: রশিদ খার ছেলে খোকন খা(৩৮), সারেং কান্দির আ: রহমান সারেংয়ের ছেলে তোতা মিয়া সারেং(৩৮) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিণœ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালীন বিলাশপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদা বেগমের বাড়িসহ সারেং কান্দি, চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এবং মুলাই বেপারী কান্দির প্রায় ২০/২২ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে সংঘর্ষ এড়াতে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে জাজিরা থানা পুলিশ, র্যাব-৮ এর ১টি টিম এবং আনসার সদস্যরা বিলাসপুরের বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে টহল দিচ্ছে। জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে সংঘর্ষ বাঁধার পরেই আমরা র্যাব এবং আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যৌঠভাবে ঘটনাস্থলে টহল দিয়ে যাচ্ছি। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।