প্রায় এক হাজার দিন পর মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছে। অনুমতি দেয়া হয়েছে স্বাভাবিক জীবন যাপনের। বলছিলাম, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দর নগরী হংকংয়ের কথা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শহরটি প্রায় তিন বছর পর কোভিড সংক্রান্ত এ বিধিনিষেধ তুলে নিল। খবর সিএনএনের।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই থেকে জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছিল হংকং কর্তৃপক্ষ। সে সময় মাস্ক না পরলে ১ হাজার ডলার জরিমানা করারও বিধান ছিল। অবশেষে ৯৫৯ দিন পর হংকং কর্তৃপক্ষ সেই বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। এখন থেকে মাস্ক না পরলে আর জরিমানা দিতে হবে না।
আগামী ১ মার্চ (বুধবার থেকে) থেকে জনসমক্ষে মাস্ক ছাড়াই হংকংয়ের অধিবাসীরা চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লী। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ৯৫৯ দিন মাস্ক ছাড়াই চলাচলের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
জন লী বলেন, ‘আমরা এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাচ্ছি।’ এশিয়ার ব্যস্ততম বন্দর ও পর্যটন নগরী হংকং পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিল।
এর আগে, পর্যটন খাত চাঙ্গা করতে পর্যটকদের বিনামূল্যে বিমানের ৫ লাখ টিকিট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল হংকং সরকার। ‘হ্যালো হংকং’-নামে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় পর্যটক টানতে এই উদ্যোগ নেয় চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বন্দরনগরীটি।
২ ফেব্রুয়ারি হংকং সরকার ‘হ্যালো হংকং’ ক্যাম্পেইনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা ঘোষণা করে। এর আগে, এই ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা করতে দুই বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ।
হংকং কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, চীন এবং হংকংয়ের তিনটি এয়ারলাইনসের মাধ্যমে বিনামূল্যের টিকিটগুলো দেয়া হবে। এয়ারলাইনসগুলো হলো, ক্যাথে প্যাসিফিক, এইচকে এক্সপ্রেস এবং হংকং এয়ারলাইনস। সবমিলিয়ে এই ৫ লাখ টিকিট দিতে হংকং সরকারকে ব্যয় করতে হবে ২৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকারও বেশি।
মোট তিনটি মৌসুমে এই টিকিটগুলো বন্টন করা হবে। প্রথম ধাপে ১ মার্চ থেকে দেয়া হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। দ্বিতীয় ধাপে ১ এপ্রিল থেকে দেয়া হবে চীনের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত নাগরিকদের এবং এর পর ১ মে থেকে বাকি টিকিটগুলো বিশ্বের বাকি দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।