ফিফা বর্ষসেরার মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। কাতার বিশ্বকাপে দুজনই দেখিয়েছেন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স। তাই পুরস্কারের জন্য সবচেয়ে ফেবারিট ছিলেন তারাই। বর্ষসেরা হিসেবে তাই ফিফা সভাপতি যখন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো নাম ঘোষণা করলেন, মেসি সবার আগে তাকালেন এমবাপ্পের দিকে। এমবাপ্পেও হাসিমুখে হাত মেলালেন। অভিনন্দন জানালেন ক্লাব সতীর্থকে।
৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো লিওনেল মেসির হাতেই যে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার যাবে সেটা একরকম অনুমিত ছিল। যা একটু সন্দেহ ছিল সেটা কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্যই। বিশ্বকাপে যে দারুণ পারফর্ম করে দলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে তুলেছিলেন ২৩ বছর বয়সী তারকা। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছেন হ্যাটট্রিক। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হারার আগে ৮ গোল করে হয়েছেন আসরের সেরা গোলদাতা। ক্লাব পিএসজির হয়েও বছরজুড়ে দেখিয়েছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।
তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়েও শেষ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে পেরে ওঠেননি এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার মহাতারকার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হওয়াটা হাসিমুখে মেনেও নিয়েছেন। তাই তো বর্ষসেরা ঘোষিত হওয়ার পর মেসিকে সর্বপ্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনিই। শুধু অনুষ্ঠানের সময় অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত হননি এমবাপ্পে, অনুষ্ঠানের শেষেও ইনস্টাগ্রামে আরও একবার অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতবারের বর্ষসেরাকে।
ইনস্টাগ্রামে এমবাপ্পে লিখেছেন, ‘লিও মেসিকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’ শুধু এটুকু লিখে থেমে যাননি এই ফরাসি। এরপর লিখেছেন, ‘তুমিই সেরা।’
ফিফা বর্ষসেরার সেরা তিনে ছিলেন মেসি, বেনজেমা ও এমবাপ্পে। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতানোর পথে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান বেনজেমা। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইনজুরিতে পড়ায় খেলতে পারেননি আরবের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম আসরটি। দ্য বেস্টের মঞ্চে ৩৪ ভোট নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় হওয়া এমবাপ্পে ভালোই লড়াই করেছেন মেসির সঙ্গে। ৪৪ ভোট গেছে তার বাক্সে। আর সেরা হওয়া মেসি পেয়েছেন ৫২ ভোট।