গত রাতে হয়ে গেল ফিফা দ্য বেস্টের এবারের আসরের অনুষ্ঠান। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার উঠেছে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির হাতে। এই বর্ষসেরা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচরা। আর সময়ের সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজ নিজ জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে একটা প্রশ্ন -তাদের ভোট গেল কার বাক্সে?
কাতার বিশ্বকাপের মাঝেই পর্তুগালের সেরা একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে নিয়মিত না হলেও কাগজে কলমে দলটার অধিনায়ক ছিলেন রোনালদোই। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে হেরে বিদায় নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ খেলেনি পর্তুগাল। অবসর বা নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কোনো ঘোষণাও দেননি রোনালদো।
তাই ফিফা বর্ষসেরা ঘোষণার রাতে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় রোনালদো। বর্ষসেরা পুরস্কারের জন্য এবার বিবেচনায় ছিলেন না ৩৮ বছর বয়সী মহাতারকা, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তার ভোটে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল বর্ষসেরা। তাই ফুটবলপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগে – কাকে ভোট দিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার?
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে -এবার কোনো ভোটই দেননি রোনালদো! পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে ভোট দিয়েছেন পর্তুগাল দলে তার কাছের মানুষ ও রিয়াল মাদ্রিদে এক সময়ের সতীর্থ ডিফেন্ডার পেপে।
৪০ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার দ্য বেস্ট নির্বাচনে তার প্রথম ভোটটি দিয়েছেন ফ্রান্সের সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে রিয়াল মাদ্রিদে তার সাবেক দুই সতীর্থ লুকা মদ্রিচ ও করিম বেনজেমাকে।
অধিনায়কের পাশাপাশি দ্য বেস্টে ভোট দিয়ে থাকেন জাতীয় দলের কোচরাও। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর পর্তুগালের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফার্নান্দো সান্তোস। তার জায়গায় কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বেলজিয়ামের সাবেক কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। এবারের আসরে ভোট দিয়েছেন তিনিই।
বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে মার্টিনেজের প্রথম ভোটটি অবশ্য মেসির বাক্সেই গেছে। পরের দুটি ভোট তিনি দিয়েছেন যথাক্রমে তার স্বদেশি মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা ও পিএসজির ফরাসি তারকা এমবাপ্পেকে।
রোনালদো কেন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে চলতি মৌসুমে ইউরোপের ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি দেওয়া রোনালদো ছিলেন না সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি আরও একবার উঁচিয়ে ধরেছেন শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক।