ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন বন্ধে আলোচনা শুরু হচ্ছে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি)। জর্ডানের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় বসবেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
জর্ডানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের তীরবর্তী আকাবা বন্দর এলাকায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ছাড়াও জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের কর্মকর্তারও এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
জর্ডানের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘জর্ডানের মধ্যস্থতায় রোববারের রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বৈঠকটি মূলত ইসরাইলের একতরফা পদক্ষেপ বন্ধে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের চলমান প্রচেষ্টা।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সম্মত হওয়া এই আলোচনার লক্ষ্য।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জর্ডানের আরও এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ ধরনের বৈঠক বিগত কয়েক বছরের মধ্যে হয়নি। তাই উভয় পক্ষকে একত্রিত করা একটি বড় অর্জন।’ প্রসঙ্গত, প্রায় এক দশক ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়ে আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত ব্রেট ম্যাকগার্কের সাথে আলোচনা করেন। কর্মকর্তাদের মতে, ম্যাকগার্ক রবিবারের বৈঠকে অংশ নেবেন।
বাদশাহ আবদুল্লাহ গত জানুয়ারিতে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও দেখা করেন। সে সময় রাজা ‘শান্তি বজায় রাখার এবং সব সহিংসতা বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এ সময় আবদুল্লাহ কয়েক দশকের পুরনো সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সমর্থনে জর্ডানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।