বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরাইলজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে ইসরাইলের জাতীয় পতাকা হাতে রাজপথে নামে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় ইসরাইলের কট্টরপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এ উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। শুরু হয় আন্দোলন।
গত ২ মাস ধরে সপ্তাহিক আন্দোলন করে আসছে ইসরাইলিরা। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতেও তেল আবিবের রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। ইসরাইলের জাতীয় পতাকা হাতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। বলেন, বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
একজন ইসরাইলি বলেন, ‘আমি এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এখানে জড়ো হয়েছি। ইসরাইলকে এক নায়কতান্ত্রিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো মিল নেই। আমার শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত।’
আরেক ইসরাইলি বলেন, প্রতি শনিবার আমরা এখানে প্রতিবাদ জানাতে আসি। গত ৮ সপ্তাহ ধরে আমরা প্রতিবাদ করছি। কারণ ইসরাইলের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। আইনের শাসন থাকছে না। বিচারের ক্ষমতা আদালতের হাতেই থাকা উচিত। রাজনীতিবিদের কাছে নয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক ক্ষমতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও মনে করেন তারা।
গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কট্টরপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিচার ব্যবস্থার সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। নতুন ওই সংশোধনীতে, সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্টকে। নেতানিয়াহুর ওই উদ্যোগের শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসছে সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, ওই সংশোধনী বিচার ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে।