ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন দেশে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শনিবার( ২৫ ফেব্রুয়ারি) তীব্র ঠান্ডা আর তুষারপাত উপেক্ষা করে জার্মানির বার্লিনে রাজপথে নামেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডায়। অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহের পাল্টা দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
তীব্র শীত আর তুষারপাত উপেক্ষা করে শনিবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনের রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ। দাবি জানান, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের ইউক্রেনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তার প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, এসব অস্ত্র দেয়ার কারণে রাশিয়া অভিযান জোরদার করেছে এবং শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, জার্মানির সাধারণ মানুষ যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হোক। আর এটা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে নয় বরং আলোচনার টেবিলে বসেই করতে হবে। অস্ত্র সরবরাহ মানে যুদ্ধকে সমর্থন দেয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সেও। শনিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসে ইউক্রেনের পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন শত শত মানুষ। এসময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশে আছি। তারা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে কিংবা নিরস্ত্র অবস্থায় যেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তারও সমর্থন জানাই।
একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। ভ্যানকুভার ও সিউলের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদকারীরা অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসঙ্গে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।
অন্যদিকে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে। শনিবার রুশ রাষ্ট্রদূতের বাসভন এবং হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেন শত শত মানুষ। এসময় পুতিনবিরোধী স্লোগান দেন অনেকে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে দ্রুত ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।