ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চীনের সহায়তা চাইতে বেইজিং সফরে যাবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। চীন ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীন ১২ দফা প্রস্তাব রাখার পরপরই শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট সফরের বিষয়টি জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি কৃষি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এক আলোচনায় ম্যাক্রোঁ তার চীন সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তাকে চীন সফরে সময় জিজ্ঞেস করা তিনি জানান, এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি বেইজিং যাবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চীন যে শান্তি প্রচেষ্টায় নিযুক্ত হচ্ছে তা একটি ভাল বিষয়।’ এসময় ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করা, সেনা প্রত্যাহার করা এবং ইউক্রেন এবং এর জনগণের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা হলেই কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘চীনকে অবশ্যই রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আমাদের সাহায্য করতে হবে যাতে রাশিয়া কখনই রাসায়নিক বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে। একই সঙ্গে এটি আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে আগ্রাসন বন্ধ রাশিয়াকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এই বিষয়েও মস্কোকে রাজি করাতে চীনকে সহায্য করতে হবে।’
অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং নিজেকে নিরপেক্ষ পক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও বজায় রেখেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের ঠিক এক বছর পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘পজিশন পেপারে’ বা অবস্থান পত্রে বলা হয়েছে, ‘এ যুদ্ধ কারোরই উপকারে আসছে না।’ প্রস্তাবে বেইজিং রাশিয়া ও ইউক্রেনকে একই দিকে কাজ করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরাসরি সংলাপ পুনরায় শুরু করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
পরিকল্পনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসান, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডোর স্থাপন এবং গত বছর বৈশ্বিক খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিঘ্নিত হওয়ার পর শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রস্তাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার এবং মোতায়েন করার হুমকির বিরোধিতাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে চীন।