চীনা শীর্ষ কূটনীতিকের সাম্প্রতিক মস্কো সফরের পর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে, যুদ্ধ বন্ধ করে উভয়পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক পূর্তি কেন্দ্র করে গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঝটিকা কিয়েভ সফর এবং এরই জেরে শীর্ষ চীনা কূটনীতিকের পাল্টা মস্কো সফরের পর এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাল বেইজিং।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে সহিংসতা বন্ধে ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে, যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথ খুঁজতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠারও ওপর গুরুত্বারোপ করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধ, ও সহিংসতায় কেউ লাভবান হয় না। হানাহানি, হামলা-পাল্টা এসব পরিহার উভয়পক্ষের উচিত সংযত আচরণ করা এবং উত্তেজনা নিরসনে আলোচনার টেবিলে বসা। পাশাপাশি সহিংসতার পরিবর্তে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সবপক্ষের সমর্থন থাকা উচিত বলেও জানায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের ঘোষণায় চীনের পরমাণু কর্মসূচি জোরদারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া এর মধ্য দিয়ে পরমাণু কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি চীন পরমাণু ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের নীতিসমূহ পুনর্বিন্যাসের সুযোগও পাবে বলে মত তাদের।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, চীনের শীর্ষ কূটনীতিকের সাম্প্রতিক মস্কো সফর এবং চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফরের গুঞ্জনে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের কৌশলগত নিরপেক্ষতা ক্রমেই বিলীন হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।