সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে তেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। যত কম ব্যবহার করা যায়।’
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে বিদ্যুতের দাম দেড়শ’ ভাগ বাড়িয়েছে। আমরা উৎপাদিত মূল্যের অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি।
‘ওয়াদা দিয়েছিলাম, সব ঘর আলোকিত করব। আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পেরেছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। সব ঘর আলোকিত করার শক্তি আপনারাই আমাদের দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ৩৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল। কেউ প্রাইমারি স্কুল সরকারি করেনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারি করেছি। শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছি।
‘ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক থেকে বৃত্তি উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারাও পড়ালেখা করতে পারে। প্রতিটি উপজেলায় স্কুল, কলেজ করে দিয়েছি। ডিজিটাল ল্যাব করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। ছোট থেকেই যাতে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা পায় তার ব্যবস্থা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করছি। একটি পরিবারও ভূমিহীন, ঘরহীন থাকবে না। জাতির পিতার এ অঙ্গীকার বাস্তবে রূপ দেবো।
বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো, বলেন তিনি।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
বেলা পৌনে ১১টায় কোটালীপাড়ায় পৌঁছান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
উদ্বোধনের পর ষষ্ঠবারের মতো পদ্মা সেতু দিয়ে নিজ জেলা গোপালগঞ্জ যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাড়ি বহরের ১২টি গাড়ির জন্য ১১ হাজার ৬৫০ টাকা টোল দিয়ে সেতু পার হন তিনি।