মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর ॥
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্রি ব্রীজ এলাকা এখন রেনু পোনা পাচার আর মাদক কারবারীদের নিরাপদ আস্তানা।
গোসাইরহাটের পট্রি ব্রীজ থেকে বুড়িরহাট পযর্ন্ত রুটে প্রতিরাতে পাচার হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রেনু পোনাসহ মাদক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে পট্রি ব্রীজের নিচে খেয়াঘাটে রেনু পোনা ভর্তি ট্রলার ভিরে এবং স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেরা নিরাপত্তার পাহারা বসিয়ে রেনু পোনা ভর্তি ড্রাম ট্রাকে অথবা পিকআপে তুলে দেয়।
নিরাপদ রুটে নির্বিগ্নে তা বুড়িরহাট হয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কানার বাজার এবং মনোহর বাজার রুট দিয়ে দেদারে পাচার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ চিংড়ি রেনু পোনা ও মাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুুয়াকাটা, বরিশাল থেকে ট্রলারযোগে আসা নদী ও সাগরের নিষিদ্ধ রেনু পোনা মিনি কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও পিকআপে করে প্লাস্টিকের ড্রাম, কলসি ও ককসিটের ভেতর সুকৌশলে ভরে পাচার হচ্ছে চিংড়ি রেনু পোনা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশা দ্রব্য। অধিকাংশ রেনু পোনা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটের বিভিণœ এলাকায়। মাদক ও নিষিদ্ধ রেনু পোনা চোরকারবারীদের কাছে গোসাইরহাট হয়ে উঠেছে নিরাপদ রুট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিংড়ি রেনু পোনা ব্যবসায়ী ও আহরণকারীরা বলেন, বিভিন্ন আড়ত মালিকদের কাছ থেকে চিংড়ি পোনা দেওয়ার জন্য দাদন নিয়ে পোনা সংগ্রহ করেন তারা। সাগর ও নদী থেকে পোনা ধরা নিষেধ থাকলেও প্রশাসনকে রাজি খুশি করে চিংড়ি পোনা ধরা হয়। পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরকে রাজি খুশি করে রাতের আঁধারে এ রেনু পোনা পাচার করা হয়।
গোসাইরহাট পুলিশ প্রশাসনের কিছুটা নমনীয় আচারণে মাদক চোরা কারবারীরা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ীর ছদ্দবেশ বেছে নিয়েছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসলাম সিকদার মুঠোফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। কেউ অবৈধভাবে এ কাজের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।