পর্যটন শহর কক্সবাজারে দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্বমানের ৬-তলা এ স্টেশন ভবনে থাকছে লকার, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, তারকামানের হোটেল, মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। কাজের অগ্রগতি ৮২ ভাগ। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নান্দনিকভাবে আইকনিক স্টেশনটিকে সাজানো হচ্ছে।
দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। প্রধান আকর্ষণ দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন। এ যেন বিশাল আকৃতির একটি ঝিনুক! ঝিনুকের পেটে মুক্তার দানা! তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি! এর মধ্যেই আসছে ট্রেন! ঝকঝকে আধুনিক এ স্টেশন অনেকটাই উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো।
দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মিঠুন রায় বলেন, বিশ্বমানের এ স্টেশনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা, লকারসহ নানা সুবিধা। দ্বিতীয়তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। তিনতলায় থাকবে তারকামানের হোটেল, যেখানে ৩৯টি রুমে থাকার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। থাকছে মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে পৌঁছে পর্যটকরা লাগেজ ও মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। আর সারা দিন ঘুরে আবার রাতের ট্রেনেই ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।
দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো. আবদুল জাবের মিলন বলেন, ছয় শতাধিক শ্রমিক ও প্রকৌশলীর শ্রমে চার বছরে এটি এখন দৃশ্যমান। চারদিকে চলছে গ্লাস ফিটিংস, ছাদের স্টিল ক্যানোফি, আর নানা ধরনের ফিটিংস বসানোর কাজ। প্রকল্পের অগ্রগতি ৮২ ভাগের বেশি।
সবমিলিয়ে ২৯ একর জমির ওপর ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আইকনিক এ স্টেশনটি। ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুট।