রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে’ বেইজিং এবং মস্কোর পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মস্কোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রধান পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ওয়াং ইর সঙ্গে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
পুতিন বলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের প্রতীক্ষা করছেন এবং উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে চীন তার মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ‘নিরপেক্ষ’ হিসেবে অবস্থানের চেষ্টা করেছে। তবে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রাশিয়াকে ইউক্রেনে অভিযান অব্যাহত রাখতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং গভীর সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, দুই দেশের অংশীদারিত্ব তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে না এবং কোনো ধরনের চাপের কাছেও নতি স্বীকার করবে না।
এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ওয়াং। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন মতে, ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং বলেছেন, রাশিয়া ও চীন একটি ‘মাল্টি পোলার’ বা বহু মেরুর বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর, যেখানে কোনো দেশের একক আধিপত্য থাকবে না। চীনা কূটনীতিক আরও বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে একটি ‘অত্যন্ত শক্তিশালী’ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। রাশিয়া ও চীন এমন একটি বহু-মেরুর বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর যেখানে কোনো একটি দেশের আধিপত্য থাকবে না।
এদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগামী মাসে রাশিয়া যাবেন তিনি।
চীনা প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য রাশিয়া সফরের পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র যাতে ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়েও পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন শি জিনপিং।