ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে অভিবাসন আবেদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় গেলো বছর এর সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশের মতো। ইইউর শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর ইইউর দেশগুলোতে অভিবাসনের জন্য আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের তুলনায় গেলো বছর এ আবেদনের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে শরণার্থী ঢলের পর এবারই অভিবাসনের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শরণার্থীবিষয়ক এ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে এসব দেশে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সিরীয় ও আফগান নাগরিক সবচেয়ে বেশি। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশ দুটি থেকে এক-চতুর্থাংশ আবেদন জমা পড়েছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিলেও তারা এ হিসেবের মধ্যে নেই। কারণ তারা ইইউর সাময়িক সুরক্ষা নীতির আওতায় আশ্রয় পেয়েছেন। নিবন্ধিত হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী সুরক্ষা পাচ্ছেন তারা।
পশ্চিমা পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য মতে, ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় ইইউর সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে সুরক্ষা মর্যাদা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন।
২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েসহ ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন ৯ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫১ হাজার ৮১৫ জন এমন আবেদন করেছিলেন।